সারাবিশ্বে কিডনি রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং লাখ লাখ রোগী কিডনি অকেজো হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কিডনি অকেজো রোগীর জটিলতা অনেক। তারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা করতে ব্যর্থ হয়। তবে কিডনি সংযোজনের মাধ্যমে রোগী নবজীবন লাভ করতে পারেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। দানকৃত কিডনি স্বল্পতার জন্য প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার কিডনি রোগী কিডনি সংযোজনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন এবং মাত্র ১৫ হাজার কিডনি সংযোজন হয়ে থাকে।
কিডনি মানুষের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ-প্রতঙ্গের মধ্যে অপরিহার্য। মানুষের দুটি কিডনি যদি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে কাজ করে, তবে একটি কিডনি দান করে একজন রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। সারা বিশ্বে ৩০-৪০ শতাংশ কিডনি জীবিত অবস্থায় দান করেন এবং ৬০ শতাংশের কিডনি মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে সংগ্রহ করা হয়। আমাদের দেশে অবশ্য মৃত ব্যক্তির কিডনি দান করা শুরু হয়নি। আমরা আশা করি, জনগণের সচেতনতা ও সরকারের সহযোগিতায় এ পদ্ধতিতে কিডনি সংযোজন শুরু করা যাবে।
কিডনি রক্ষায় যে নিয়মকানুন পালন করা যাবে তা হলোÑ নিজের স্বাস্থ্য অটুট রাখুন ও সুস্থ থাকুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখুন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখুন। সুষম খাদ্য খান ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন। ধূমপান ত্যাগ ও প্রতিরোধ করুন। নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন, পরিবারের যে কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকলে কিডনি রোগ পরীক্ষা করুন।
এ ছাড়াও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, উত্তেজনা পরিহার করা, প্রতিদিন তাজা শাকসবজি ও ফল খাওয়া, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও দৈহিক পরিশ্রম করা উচিত।
Leave a Reply